রবিবার, ১১ মার্চ, ২০১২

প্রেমের করারা জন্য বুলেট টিপস

গার্লফ্রেন্ডকে প্রপোজ করার নানান ধরন(ফান পোষ্ট)!

প্রপোজ করবেন কি ভাবে নিজেই নির্বাচনকরুন!!!! ;)
undefined
১. ব্ল্যাকমেইল স্টাইলঃ আমি তোমাকে ভালবাসি।
তুমি হ্যাঁ বললে তো ভালো। কিন্তু না বললে তখন
অন্য মেয়ে খুঁজতে হবে। আর সেটা তোমার বোন ও হতে পারে!! ;)
২. ডাইরেক্ট স্টাইলঃ শোনো মেয়ে,
আমি কোনো রকম ভূমিকা-টূমকা
না করে একেবারে সোজাসুজিভাবে তোমাকে একটা কথা বলে দিতে চাই।
- আমি তোমাকে ভালোবাসি। :P
৩. মাস্তানি স্টাইলঃ ওই মাইয়া, ভালবাসা দিবি কি-
না, বল!(চাকু/বন্দুক দেখিয়ে) :O
৪. যুক্তিবাদী স্টাইলঃ আমি তোমার ছোট
ভাইকে ভালোবাসি। তোমার ছোট ভাই
তোমাকে ভালোবাসে। অতএব, যুক্তিবিদ্যার
নিয়মে কি হয়? বাকিটা তুমিই বল!! :lol:
৫. চালাক স্টাইলঃ তুমি কি জানো, আমাদের জাতীয়
সংগীতের দ্বিতীয় লাইন টা কি?? ;)
৬. রসিক স্টাইলঃ Excuse me!
আমি তোমাকে প্রপোজ করতে চাই। please
অনুমতি দাও। :(
৭. হিজড়া স্টাইলঃ এই দুষ্টু মেয়ে। তুমি এ কি জাদু
করলা? তোমাকে দেখলে আমার হার্টবিট বেড়ে যায়।
আবার তোমাকে না দেখলে অস্থিরতা মরে যাই।
তুমি কি জানো?
আমি তোমাকে অনেননননননননন….ক ভালোবাসি। :P
৮. ডিজুস স্টাইলঃ Hi,whatsup sweet
heart ? , wanna be maa
lavaa,actually I am in love with u ! :P :D
৯. ভীতু স্টাইলঃ ইয়ে মানে!! ইয়ে মানে !!!
আমি মানে ! আমি মানে তোমাকে ,……। ( আর
বলা হয় না ) :P
১০. গায়ক স্টাইলঃ গানের
গলা ভালো হলে একটা গান গেয়ে বলতে পারেন…
“এত ভেবে কি হবে? ভেবে কি করেছে কে কবে?
ভাবছি না আর, যা হবে হবার। এত দিন বলিনি,
তুমি জানতো আমি এমনি…… ভালবাসি !!” :)
১১. দেবদাস স্টাইলঃ কেউ আমাকে ভালবাসে না। এ
জীবন আমি রাখবনা। তোমার কাছে বিষ হবে? আমায়
বিষ দাও। আমায় বিষ দাও। (কান্নায় ভেঙ্গে পড়ুন) :P
১২. কাব্যিক স্টাইলঃ কবি কবি ভাব থাকলে ২
লাইন কবিতার মাধ্যমে প্রপোজ করতে পারেন !!
আশা করি এই টুকলিফাই এর যুগে কবিতার অভাবহবে না!! :D
১৩. অনুভূতিহীন স্টাইলঃ তোমাকে আমার খুব পছন্দ
হয়েছে। এখন তুমি আমাকে পছন্দ না করলেও
আমি পাঁচতলা থেকে লাফ দিবো না, বিষ খেয়েও
মরবো না। যদি আমাকে তোমার পছন্দ হয়,
তাহলে বল। ;)
তো আপনি কোন স্টাইলে করবেন? ;)

Kiss নিয়ে ১০টি মজার তথ্য!


১। ফেব্রুয়ারী ৫ হচ্ছে আন্তর্জাতি ক চুমু দিবস! ;)
২। সাধারন চুমুতে প্রতি মিনিটে ২৫ ক্যালোরি এবং গভীরভাবে চুমুতে ১০০ ক্যালোরি পর্যন্ত শক্তি প্রয়োজন! :D
৩। চুমু সম্বন্ধে যে বিদ্যা তার নাম Philematology! :P
৪। প্রেমিক প্রেমিকাদের মস্তিস্কে এক ধরনের নিউরন থাকে যা তাদেরকে অন্ধকারেও একজন আরেকজনের ঠোঁট খুজে পেতে সাহায্য করে!
৫। পৃথিবীর সবচেয়ে দীর্ঘ চুমুর রেকর্ড হচ্ছে ৩৩ ঘন্টা ১৮ মিনিট ৩৩ সেকেন্ড! এটা করা হয়েছিলো ২০১০ সালের ভ্যালেন্টাইনস ডে তে। এই যুগলের পরে অক্সিজেন দিয়ে ট্রিটমেন্ট দিতে হয়েছিলো। Omg !!
৬। সিনেমাতে সবচেয়ে দীর্ঘ চুমুর রেকর্ড হচ্ছে ৩ মিনিট পাঁচ সেকেন্ড্ । সিনেমার নাম “You’re in the Army Now” (১৯৪১ সালের)। Omg !!
৭। মূল ধারার এক সিনেমাতে সবচেয়ে বেশী চুমুর রেকর্ড ১২৭ বার Don Juan (১৯২৭ সালের) সিনেমাতে! Omg !!
৮। আমরা যেটাকে ফ্রেন্চ কিস হিসেবে জানি ফ্রান্স এ তার নাম Embrasser Avec la Langue! :P
৯। পুরুষের কাছে পৃথিবীর সবচেয়ে আকর্ষনীয় ঠোট? জরিপ অনুযায়ী এনজেলিনা জোলী(ভালই কইছেন আপা)! ;)
১০। চুমু খেতে ভয় পান? তবে আপনার Philematophobia হয়েছে! :P
(ফেসবুকের এক ফাজিলের পোস্ট থেকে সংগৃহীত)

শুধু ভালবাসি তোমাকে

এক মেয়ে একবার তার প্রেমিককে জিজ্ঞেস করলোঃ তুমি আমাকে কেনো পছন্দ করো?? কেনো ভালোবাসো??

ছেলেটি উত্তর দিলোঃ আমি তোমাকে কারনগুলো বলতে পারবো না।। কিন্তু সত্যিই আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি এবং অনেক পছন্দ করি।।
মেয়েটিঃ তুমি আমাকে কারনগুলোও বলতে পারছ না, অথচ বলছ তুমি আমাকে ভালোবাসো আর পছন্দ করো।। তাহলে আমি কিভাবে তোমার কথাগুলো বিশ্বাস করবো??
ছেলেটিঃ আমি আসলেই জানি না কারনগুলো কি।। তবে তুমি চাইলে আমি তোমাকে প্রমান দিতে পারি।।
মেয়েটিঃ প্রমান দিয়ে আমি কি করবো?? না, আজকে তোমার বলতেই হবে তুমি আমাকে কেনো ভালোবাসো।। আমার বান্ধবীদের প্রেমিকরা কত সুন্দর সুন্দর কথা বলে, তারা সবাই বলেছে তারা কেনো আমার বান্ধবীদের ভালোবাসে।। তুমি ভালোবাসো না তাই বলতেও পারছ না।।
ছেলেটিঃ আচ্ছা আচ্ছা, রাগ করো না।। বলছি।।
আমি তোমাকে ভালোবাসি কারন,
তুমি সুন্দরী।।
তোমার গলার স্বর খুব সুন্দর।।
তুমি আমার অনেক খেয়াল রাখো।।
তুমি আমাকে অনেক ভালোবাসো।।
তোমার হাসি অনেক সুন্দর।।
তুমি আমাকে নিয়ে অনেক চিন্তা করো।।
আমার ভালোলাগা খারাপ লাগা গুলোর খেয়াল রাখো।।
তোমার সব কিছুই আমার ভালো লাগে, তাই আমি তোমাকে ভালোবাসি।।
মেয়েটি এসব শুনে খুশি হয়ে গেলো এবং সেদিনের মত তারা পরস্পরকে বিদায় জানালো।।

পর্ব – ২

দুর্ভাগ্যক্রমে মেয়েটি কয়েকদিন পর ভয়াবহ দুর্ঘটনার শিকার হল এবং কোমায় চলে গেলো।।
ছেলেটি অনেক কাঁদল, তার অনেক মন খারাপ হল।। সে মেয়েটিকে দেখতে গিয়ে একটি কার্ড দিয়ে আসলো।। সেই কার্ডে লেখা ছিলঃ
প্রিয়তমা,
আমি তোমাকে ভালোবাসতাম তোমার সুন্দর গলার স্বরের কারনে।। এখন কি তুমি কথা বলতে পারো?? নাহ, পারো নাহ!! তাই, আমি তোমাকে এখন ভালোবাসতে পারি না!!
তুমি আমার অনেক খেয়াল রাখতে এবং আমার প্রতিটা ইচ্ছের প্রতি তুমি অনেক যত্নবান ছিলে, তাই আমি তোমাকে ভালোবাসতাম।। এখন তো তুমি আমার খেয়াল রাখতে পারবে না।। তাহলে কি আমি তোমাকে আর ভালোবাসতে পারবো?? নাহ, একদমই নাহ!!
আমি তোমার হাসির জন্য তোমাকে ভালোবাসতাম, তোমার সব কিছুই আমার ভালো লাগত, তাই আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসতাম।। কিন্তু এখন তো তুমি হাসতে পারো না।। এমনকি নাড়াচাড়াও করতে পারো না।। তাহলে কি আমি তোমাকে ভালোবাসতে পারি?? নাহ, কখনই না!!
বুঝতেই তো পারছ, যে কারনগুলোর জন্য আমি তোমাকে ভালোবাসতাম সেই কারনগুলোর জন্য এখন আর তোমাকে ভালোবাসা সম্ভব নয়!!
ভালোবাসার জন্য যদি আসলেই কোনো কারন লাগতো তাহলে এই মুহূর্তে তোমাকে ভালোবাসার জন্য আমার হাতে কোনো কারন নেই!!
ভালোবাসার জন্য আসলেই কি কোনো কারন লাগে?? নাহ, একদমই নাহ!!
তাই তো আমি এখনও তোমাকে ভালোবাসি, এবং সবসময়ই ভালোবেসে যাবো।।
তোমার ছিলাম, তোমারই আছি, আর চিরদিন তোমারই থাকবো।।
- ইতি, তোমার প্রিয়তম।।

একটি অপূর্ণ ভালবাসার গল্প পর্ব- ১

বিশেষ দ্রষ্টব্য : এই সিরিজ পোষ্টটি অনেকেই পড়বেন তা জানি। আমি সব সত্য ঘটনা এবং আসল নাম ব্যবহার করেই লিখবো। হয়তো যে মেয়েকে আমি ভালবেসেছিলাম তাকে অনেকেই চিনবেন বা আনাদের কারো নিজেদের কেউ হলেও হতে পারে। তবে হ্যা আমি এখানে এমন কিছুই লিখবো না বা মিথ্যা কিচুই মেয়ার করবো না যেটা আপনাদের চোখে খারাপ লাগবে। আর যাদের সাথে হয়তো এই মেয়ের পারিবারিক সম্পর্ক আছে তারা দয়া করে আমাকে বা তাকে নিয়ে খারাপ ধারনা নিবেন না। কারন, প্রেম ভালবাসা মানুষই করে। কারও পরিচিত এর মধ্যে হয়ে কারও অপরিচিত। ;)

বয়স চলছে ২২। এরই মধ্যে জীবনের ২১ টি ভালবাসা দিবস, ২১টি পহেলা বৈশাখ পার হয়ে গেছে। আরো কত কি যে পার হইছে তা না-ই বা বললাম। নিজের মনের মধ্যে এই ২২ বছরে অনেক কিছুরই পূর্নতা আসছে। কিন্তু অপূর্ণতাও আছে তার চাইতে অনেক বেশি। আসলে আমি আমার বন্ধ সার্কেলের মধ্যে অনেকটা আলাদা প্রকৃতির ছিলাম। এখন অবশ্যই নিজের মাঝে অনেক পরিবর্তন আনতে বাধ্য হইছে সময়ের প্রয়োজনেই। আলাদা প্রকৃতির হবার কারনে অনেকের অনেক কটু কথাও হজম করতে হয়েছে। বন্ধুরা একের পর এক প্রেম করে আর ছ্যাকা দেয়/খায় ;) । আমি মোটামুটি মজাই নিতাম ওদের সেইসব কার্যকলাপ থেকে। কিন্তু প্রকাশ করতাম না যে, আমি যে ভরা যৌবন উতলায় পড়তেছে। আমারো যে, দরকার প্রেম-ভালবাসা করার দরকার। কিন্তু, আমি মেয়েদের প্রতি একদমই ইন্টারেষ্টেড ছিলাম না। এমনটা কেন ছিলাম জানি না। :lol:
তবে হ্যা, আমার একটি ভ্রমন পিপাসু মন আছে। যেকোন জায়গায় দূরে হোক আর কাছে আমার যাওয়া চাই। প্রতি বছরের ন্যায় গত বছর(২০১০) এর বন্ধুরা মিলে ঠিক করলাম সিলেট ট্যুর এর। যেই কথা সেই কাজ। রওনা দিলাম সবাই মিলে, নানান ঝড় ঝাপটা উপেক্ষা করে শেষে পৌছাইলাম সিলেট এ। :) ৫ দিনের সফর অনেক আনন্দের সাখে শেষ করে ফিরলাম রংপুর(আমার বাড়ি)। পুরো একদিন বিশ্রাম নেয়ার পর যথারীতি আমার কার্যক্রম শুরু করলাম। পিসিতে বসলাম, ফেইসবুক অন করে সবার সাথে অনেক মজা করলাম, ট্যুরের অনেক ছবি আপলোড করলাম। এভাবেই কেটে যাচ্ছিল আমার স্বাভাবিক জীবনযাপন। তবে কে জানতো যে, এরই মাঝে আমার না চাওয়া ভালবাসা আমার সাথে দেখা করবে অপ্রত্যাশিত ভাবে …. :)
শুরু যেখানে ..
আমি কতটা ইন্টারনেট এবং ফেইসবুক আসক্ত তা লিখে বুঝাতে পারবো না। প্রতি দিনের মত ঠিক সেদিনও(তারিখ মানে নাই) ফেইসবুক ওপেন রেখে কাজ করচিলাম। সময়টা মে বি বিকেল ৪.৩০ মিনিট হবে। হঠাত একটি মেয়ে আমাকে ফেইসবুকে নক করে। যদিও আমি ফেসবুকে আগে থেকেই মেয়েদের সাথে তেমন একটা ইন্টারেক্ট করতাম না। স্বাভাবিকভাবে এই মেয়েকেও ইন্টারেক্ট করি নাই। কিন্তু সেই মেয়ে আমার সাখে অনবরত কথা বলতেছিল। বাধ্য হয়ে আমি কাজ অফ করে বলতেছিলাম। কথা বার্তার এক পর্যায়ে জানতে পারলাম সে আমার শহরের্ই(রংপুর) মেয়ে। এবং আমারে থেকে কিছু দূরেই থাকে। কিন্তু কোথায় থাকে তা জানতে চাইলে বলে নাই। আসলে মেয়েরা স্বভাবতই এমন। কিছু বলতে চায় না সহজে। যাকগে, এভাবে প্রায় প্রতিদিনই কথা হত। এমন মোটামুটি একটা ভাল সম্পর্ক তৈরী হল।
কিছু দিন পর জানতে পারলাম ঐ মেয়ে আমার বেষ্ট ফ্রেন্ড এর ভাগনি হয়। বলে রাখা ভাল আমার বেষ্ট ফ্রেন্ড আমার চাইতে বয়সে অনেক সিনিয়র মেয়ে এবং তিনি ঢাকায় থাকেন, তার সম্পর্কে বিস্তারিত বলাটা এখানে সম্ভব না। তাতে কি, বন্ধুত্ব তো বয়স বা ছেলে-মেয়ে মানে না। আমার এই বেষ্ট ফ্রেন্ড এমন একজন মানুষ যে কি না আমার লাইফের অনেক গুরুপ্তপূর্ণ একটি মানুষ। এভাবে আরো অনেক কিছুই জানলাম সেই মেয়ের ব্যাপারে, যেমন: কি করে, ফ্যামিলিতে কে কে আছে ইত্যাদি। রীতিমত কথা হত আমাদের। ও আমাকে আপনি বলে সম্বোধন করতো আমি তুমি করে। সময় গড়ানোর সাথে সাথে ওর সাথে আমার ভালই বন্ধুত্ব হয়েছিল। আমি কখনও ভাবতে পারি নাই যে, দ্বিতীয় কোন মেয়ের সাথে আমার এতটা ভাল বন্ধুত্ব হবে।
আরো সময় গড়ানোর সাথে সাথে আমার মনে কেমন যেন একটা অস্বাভাবিকত্ব কাজ করতে শুরু করলো। ওর সাথে কথা না বলতে পারলে আমার রাতের ঘুমটাও হারাম হয়ে যেত। আসলে তখনও বুঝতে পারি নাই যে, আমি ওকে ভালবেসে ফেলছি। কি করবো বুঝতে পারতাম না। শুধু ওকে নিয়েই ভাবতাম সারাক্ষন। আসলেই যে এসব ভালবাসার সিমটম তা বুঝলাম কযেক মাস পড়েই। একের পর এক প্রতিদিন আমাদের কথা হত ফেসবুকে, ইয়াহু মেসেন্জারে। বেশির ভাগ দিন গেছে রাত ২টা-৩টা পর্যন্ত চ্যাটিং করছি। আসলে শুধু যে ওর সাখেই কথা বলতাম তা নয়। ওর রংপুরস্থ খালা যে কি না ওদের সাথেই থাকতো উনার সাথেও কথা হত। :)
এভাবে প্রায় তিন-চার মাস পার হল। কোন কিছুই যে আর আমার ভাল লাগতেছিল না। ওর সাথে এর আগে দেখাও হয় নাই। দেখা হবার ঘটনাতো আরো পরে আসছে। ভাবতে লাগলাম ওর সাথে দেখা করলে কেমন হয়। কিন্ত না পরে ডিসিশন পরিবর্তন করলাম। এভাবে দেখা করা আমাদের জন্যও খারাপ হতে পারে। তাই চুপ মেরে গেলাম। শুধু ভেবেই চলছি ওর কথা। :)
হঠাত একদিন, ওর ফেইসবুক প্রোফাইল এর ছবি পরিবর্তন দেখলাম। ব্যাপারটি প্রথমে এতটা গভীরভাবে দেখি নাই প্রথমে। কিন্তু ২/১ দিন পরেই বুঝতে পারলাম আমার কাম ফিনিস করছে এই ছবি। এইবার বুঝতে পারলাম তবে হ্যা, প্রেম আমাকে পেয়ে বসেছে ভাল ভাবেই। ওর সেই ছবির চাহনি দেখলে যে কেউ !! আমি না হয়েও পাড়লাম না। তখন আসলেই এই কথাটির স্বার্থকতা বুঝলাম যে, “নারীরা আসলেই অনেক মায়াবী হয়”। ;)

একটি অপূর্ণ ভালবাসার গল্প পর্ব- ৩

[বিশেষ দ্রষ্টব্য : এই সিরিজ পোষ্টটি অনেকেই পড়বেন তা জানি। আমি সব সত্য ঘটনা এবং আসল নাম ব্যবহার করেই লিখবো। হয়তো যে মেয়েকে আমি ভালবেসেছিলাম তাকে অনেকেই চিনবেন বা আনাদের কারো নিজেদের কেউ হলেও হতে পারে। তবে হ্যা আমি এখানে এমন কিছুই লিখবো না বা মিথ্যা কিছুই শেয়ার করবো না যেটা আপনাদের চোখে খারাপ লাগবে। আর যাদের সাথে হয়তো এই মেয়ের পারিবারিক সম্পর্ক আছে তারা দয়া করে আমাকে বা তাকে নিয়ে খারাপ ধারনা নিবেন না। কারন, প্রেম ভালবাসা মানুষই করে। কারও পরিচিত এর মধ্যে হয়ে কারও অপরিচিত।]
এভাবে করে ফেব্রুয়ারী মাস চলে আসে, কো-ইন্সিডেন্সলি বিদিশার খালা জন্মদিন ৪ তারিখে। কি গিফট দিবো চিন্তায় পরে গেলাম। ছেলে মানুষ হলে কিছু একটা দিলেই হত বাট মেয়েদের জন্য গিফট ফিক্সড করা যে কতটা ঝামেলার তা ঐ বারেই ভাল হারে হারে টের পেয়েছিলাম। বরাবরের মত এবারেও বিদিশার ঢাকাস্থ খালা আমার বেষ্ট ফ্রেন্ড ওকে জানালাম। চট জলদি ও সমাধান দিলো, আমি ওর কাছে টাকা পাঠালাম আর ও মার্কেট থেকে গিফট কিনে রংপুর এ পাঠায় দেয় সরাসরি ওদের ঠিকানায়। বাট গিফট টা কেমন বা কি কি ছিল তা আমি পরবর্তীতে জানতে পারি নাই।
এতাদিন চলে যায়, তারপরও ওদের কারোও সাঙ্গে আমার সামনা সামনি সাক্ষাত হয় নাই। ওদের সিকিউরিটির কথা ভেবে তাই আমিও জোর দিতাম না। কিন্তু ভাগ্য বলে কথা, সামনেই ভ্যালেনটাইন-ডে, বিদিশার রংপুরস্থ খালা ভ্যালেনটাইন-ডে কার্ডের জন্য আমাদেরই জানাশুনা এক ভাইকে(আমাদের ভাল ফেসবুক ফ্রেন্ড বটে, ওনার সাথেও দেধা হয় নাই এখনও) তার গিফটিং শপ থেকে ভ্যালেনটাইন-ডে কার্ড পাঠাতে বলে, তাও আমার বাসার ঠিকানায়। আমি রাজি হলাম, সাথে আমিও ওদেরকে দেয়ার জন্য কার্ড আনালাম। কয়েক দিনের মধ্যে প্যা্কেটে মুড়ানো কার্ড আমার বাসার ঠিকানায় আসলো। এরপর যথারীতি আন্টিকে বলে আমাদের সেই কাঙ্খিত দেখার দিন ঠিক করলাম। যদিও বিদিশার দেখা সেদিনও পাই নাই। আসলে আমি নিজেই চাই নাই যে হুট করে ওর সাথে আমার দেখা হোক। যাই হোক, ১১/০২/২০১১ ডেট ফিক্সড হলো আমাদের দেখার করার। আমি কিছুটা নার্ভার্স ছিলাম, কারন ওদের সাথে প্রথম দেখা। তারপরেও সাহস করে সেদিন সন্ধায় বের হলাম ওদরে সাথে দেখা করতে। হাতে ছিলাম সেই গিফট কার্ড, যাতে বিদিশার জন্য কার্ডটিও আমি ইনক্লুড করে দিয়েছে। ;)
আমাদের নির্ধারিত জায়গায় সন্ধা ৭.০০ এর দিকে প্রায় ৩০ মিনিট লেট করে ওরা আসলো। এমনিতেই আমি সময় সচেতন তার উপর লেট হটে মাথা ঠিক থাকে না। ওদের সাখে প্রথম দেখা তাই ব্যাপারটি মানিয়ে নিলাম সাথে সাথেই। যাই হোক ওদের সাথে দেখা হল, কথা হল প্রায় ৩০ মিনিটের মত, বেশি সময় কথা হয়নি কারন ওরা লেট নাইট পর্যন্ত বাসার বাহিরে থাকে না বলে। কথার ফাঁকে আমরা চটপতি খেলাম। বেস ভালই সময়টা কাটালাম। মজার ব্যাপার হল আমি সবসময় চুইনগাম বা চকলেট খেতে পছন্দ করি মানে মুখে রাখতাম(যদিও অভ্যাসটা এখন কম), সেদি ওর ছোট বোন লক্ষ করতেছিল কিন্তু আমি ভূলে ওদের দেই নাই বলে পরে এটার জন্য অনেক কথা শুনতে হইছে। যদিও আমি মজাই পাইছিলাম। হেহ হেহ !!! ;D
এভাবে বাকী সময়গুলো কথা বলার মাঝে পার করে দিলাম, শেষে কার্ড এর প্যাকেটটি আন্টির হাতে বুঝায় দিলাম, তারপর যার যেদিক গন্তব্য চলে গেলাম। তারপর আফসোস লাগলো, ইস সেদিনই যদি বিদিশার সাথে মিট করতে পারতাম অনেক ভাল লাগতো !!!
যাক সে কথা না হয় পরের পোষ্টেই বলি, কি বলেন? ;) 

একটি অপূর্ণ ভালবাসার গল্প পর্ব- ৪

সেই চকলেট না খাওয়ানোর দায়ে অনেক চিমটি কথা শুনতে হইছে পরে ওদের তিনজন এর কাছে থেকে। আমিতো ভাবতেও পারি নাই ওরা ব্যাপারটা সিরিয়িাসলি নিবে। আর বিদিশা যা বলছিলো, “তুই বেচে গেছিস যে আমি ওখানে ছিলাম না, না হলে চকলেট না দেয়ার দায়ে তো মাথার সব চুল ছিড়ে নিতাম ওখানেই!!!” ;) বাপরে….. চকলেট না খাওয়ানো দায়ে এতা বড় শাস্তি?? :P
ভাবতেও অবাক লাগে, ১১/০২/২০১১ থেকে ২৩/০২/২০১১ এই বারটা দিন কিভাবে চোখের নিমিষে কাটলো তা বুঝতেও পারি নাই। ফেব্রুয়ারীর ২৩ তারিখ আমার জন্মদিন। দিনটি আমার প্রতি বছরই ভাল কাটে। কারন হিসাবে, ম্যাচিউর হবার পরও আমার জন্মদিন পালন করা হয় ছোট বাচ্চাদের মত কেক কেটে। বন্ধু-বান্ধব এবং আত্নীয়দের দাওয়াত করে। এখন পর্যন্ত এর হের-ফের হয়নি কোনবারও।
সবকিছুই আগের বারের মতই হচ্ছিল। কিন্তু জন্মদিনের আগের সন্ধা(২২ তারিখের) থেকে ভাবছিলাম, ওদেরকে ইনভাইট করবো কিনা! অনেকটা কপালে ভাজ পরার মত অবস্থায় ছিলাম। কারন বাকী দু’জনের সাথে দেখা হলেও, বিদিশার সাথে আমার এর আগে সরাসরি দেখা হয় নাই। হোক তারপরেও সাহস করলাম। ওদের তিনজনকেই ইনভাইট করবো। তিনজনই আসলে ভাল, আর বিদিশা না আসলেতো কিছুই করার নাই।
সেদিন রাতের খাবার খেয়ে শুয়ে পড়লাম, এবং প্রতিদিনের মত মোবাইল দিয়ে ঘন্টা খানিক ফেসবুকিং করলাম। তারপর চলে গেলাম ইবাড্ডি দিয়ে মেসেঞ্জারে। প্রতিদিনের ডিউটি কি আর ভূলে থাকা যায়!! ;) রাত মেবি তখন ১২টা ঠিক তখন আমার অন্য মোবাইলে বিদিশার খালার কল আসলো, বুঝতে পারলাম জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতেই ফোন করছে ওরা। ফোন রিসিভ করেই যে প্রথম ভয়েসটা ওর শুনবো ভাবতেও পারিনাই। :) যাক ওর উইস দিয়ে ২১তম জন্মদিনের প্রহর শুরু হয়। এর পর একে একে ওর ছোট বোন তারপর ওর খালা। তিন জনের সাথে প্রায় ৪৫ মিনিট কথা হলো। এদিকে ঐ নাম্বারে ওয়েটিং কল এর হিড়িক পড়ে গেছিলো এই ৪৫ মিনিটে। স্বভাবতই জন্মদিনে সবারই এমনটা হয়। আমার ক্ষেত্রেও তাই। :)
ওদের সাথে কথা বলার পর আরো কয়েকটা কল রিসিভ করি, ২/৪ মিনিট করে কথা বলি। তারপর রাত ১.৩০ মিনিটে আবার মেসেঞ্জারে প্রবেশ। আসলে একটা নেশায় পড়ে গেছিলাম ওদের সাথে রাত জেগে চ্যাটিং করার। প্রতিদিন রাত ৩.৩০টা/৪টা পর্যন্ত কথা হত। এক কথায় আমার মোবাইলের চার্জ শেষ না হওয়া পর্যন্ত।
যাক মূল কথায় আসি। রাত ২.৩০টার দিকে বিদিশার খালাকে ইনভাইট করলাম, মানে ওদের তিন জনকেই। প্লেস হিসাবে প্রথমে ঠিক করলাম “কফি হাউস” বাট ওদের সমস্যা থাকার কারনে পড়ে রংপুর “ঢাকা ফাস্ট ফুড” রেস্টুরেন্ট প্লেস হিসাবে ফাইনাল করলাম। তারপর কিছুক্ষন পড় ঘুমায় পড়লাম।
যথারীতি সকাল হল, আমি গেলাম কেকের অর্ডার দিতে। বিকাল তিনটায় নিবো, তাই সকাল সকাল যাওয়া। অর্ডারে দিয়ে ১১টায় বাসায় ফিরলাম এবং পিসিতে বসলাম। চিন্তা করলাম টুকটাক কাজগুলো শেষ করি। বাট কোথায় কাজ হল, ফেসবুকে লগইন করেই যে আমার মহারানীর খোঁচা মানে বিদিশার সাথে চ্যাটিং শুরু। আর কাজের কথা তো ভুলেই গেলাম…….. । ১২টার দিকে বিদিশা হটাত আমাকে আর্জেন্ট কল দিতে বললো ওর বাবা আসার আগেই খালার মোবাইলে কি যেন গুরুপ্তপূর্ণ কথা বলতে। কল দিলাম বাসার বাহিরে বের হয়ে। কারন বাসার ভেতরে থেকে কোন মেয়েকে কল করার সাহস আমার ছিল না। এখন অবশ্য আছে। ;) এবার মহারানীর আর আমার কিছু কথা …..
-হ্যা, কি বলবি বল।
কিছু না এমনিতেই…
-মানে.. ?
না মানে, শুনলাম খালাকে আর ছোটকে তোর জন্মদিনে ইনভাইট করছিস?
-হ্যা, কেন আন্টি তোকে বলে নাই? আর তোকেও তো ইনভাইট করছি। কেন, তোকে কি আলাদা করে ইনভাইট করতে হবে?
আমাকে কেউ সরাসরি ইনভাইট না করলে যাই না।
-ওরেবব্বাবা তাই?
হ্যা, তাই।
-আচ্ছা ম্যাডাম আপনিও আসবেন আমার জন্মদিনের পার্টিতে। :)
এভাবে আবার বাকী দু’জনের সাথে কথা বলতে বলতে, ফোন কনফারেন্স এ বিদিশা ঢাকাস্থ খালার সাথেও কথা হল। সবার সাথে কথা বলে দুপুর দু’টায় রেহাই পেলাম। তারপর গোসল ও লান্স সেরে চলে গেলাম কেক আনতে। কেক আনতে আনতে কথা হয় আমার ফেসবুকের অনত্যম প্রিয় বন্ধু ইউনুস হোসেন এর সাথে। ইউনুসের সাথে ঐ প্রথম এবং এখন পর্যন্ত শেষ বারের মত ফেনে কথা বলা। ইউনুস গ্রিটিং করলো, শুভ কামনা জানালো ওদের সাথে দেখা করার জন্য।
বাসায় এসে আবারো ফেসবুক আবারও বিদিশা!! :( উহ! এই মেয়েটাতে আমার প্রতিটা রন্দ্রে রন্দ্রে ঢুকে পড়লে। খেতে গেলে, ঘুমাতে গেলে, পড়তে বসলে সর্বপরি ফেসবুকেতো আছেই। আমার উপর এবার তার যত নালিস…
তুই অনেক কিপটা..
-হাউ …? :(
বললাম দ্রুত কল দিতে দিলি ১০ মিনিট লেট করে।
-তাতে কিপটার কি হল বুঝলাম না?
হইছে আর ভদ্র সাজতে হবে না..
-…. :(
-আচ্ছা আমি খারাপ, এবার হইছে।
না হয়নাই, তুই কুত্তা, হারামি চুপ কর।
-ওকে!!!
-আচ্ছা বিকেল ৫টায় তো দেখা হচ্ছে তাই না?
হ্যাঁ তো?
-না কিছুনা। আমি গেলাম।
গেলাম মানে, কোথায়?
-নামাজ পড়তে, তারপর রেডি হবো আমার প্রিন্সেস এর সাথে দেখা করতে। তাও কি ভুলে গেছিস।
ওকে.. :) :) :)
নামাজ পড়ে আসলাম, কি ড্রেস পড়বো তা ঠিক বুঝে উঠতে পাড়তেছিলাম না্ হঠাত মনে পড়লো ওর পছন্দের রঙ সাদা এবং কালো। এই কালারের ড্রেস আমারো পছন্দের। এমনটি সাদা-কালো আমারও পছন্দের অনেক আগে থেকেই। কালো নরমাল প্যান্ট ও সাদা শার্ট এবং ফ্লাট সেন্ডেল পড়ে চললাম আমার প্রিন্সেস এর সাথে দেখা করতে। মাঝ পথে আমার চকলেট এর নেশা জাগলো। রিক্সা থামায় কিনলাম। এমন সময় মনে পড়লো বিদিশার কথাটি- “তুই বেচে গেছিস যে আমি ওখানে ছিলাম না, না হলে চকলেট না দেয়ার দায়ে তো মাথার সব চুল ছিড়ে নিতাম ওখানেই!!!””। ;) সাথে তিন জনের জন্যেই তিনটা চকলেট বার কিনে নিয়ে চললাম রেস্টুরেন্ট এর উদ্দেশ্যে। আমার বাসা থেকে রেস্টুরেন্ট এর দুরত্ব ১.৫ কি:মি। ৫টাকা রিক্সা ভাড়া।
ঠিক আমার দেয়া সময়মত ফাস্ট ফুড রেস্টুরেন্ট এ পৌছাইলাম। পৌছানোর ২০ মিনিট পর ওদের কল দিলাম। কিন্তু যা শুনলাম তাতে আমার মেজাজ আগুন!!!  ওনারা মাত্রই রেডি হচ্ছেন!!!! হাউ আনপাংচুয়াল টুডেজ গার্ল আর? :( আর কিছু না বলে জলদি আসতে বলে ফোন রাখলাম। ঘড়ির কাটা ঠিক ৬টা বাজে। এমন সময় ওদের দেখা মিলে…. :) :) :) :) :)
আমার প্রিন্সেস সত্যিই কি আমার সামনে? গায়ে চিমটি কাটার মত শক্তি পাচ্ছিলাম না। ভালবাসার মানুষকে সামন থেকে প্রথম দেখার কতুটুকু তৃপ্তি তা আর বুঝতে বাকী ছিল না। আসলেই মেয়েরা মায়বী হয়। কেন একটি ছেলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে না দেথেই কোন মেয়ের প্রেমে পড়ে? তার উপযুক্ত কারন হিসাবে আমার অভিমত, “ওরা আসলেই মায়াবি, মায়ার বাঁধনে কথন কাকে কিভাবে জড়ানো যায় তা হয় আল্লাহ মায়ে পেটে থাকতেই ওদের শিখিয়ে দেন। কিন্তু একটি ছেলেকে কেন দেন না তা?
রেস্টুরেন্ট এর ভিতরে গিয়ে এক পাশের টেবিলে আমরা তিনজন। ভিতরের পরিবেশটাই এমন, এখানে শুরু প্রেমিক-প্রেমিকা ছাড়া কারও দেখা মিলা দায়। প্রথম কয়েক মিনিট সবাই চুপচাপ আমরা। তারপর আস্তে আস্তে কথা বলার পালা। পুরো সময়টা মজার করা আর কথা বলার পাশাপাশি আমার আর ওর মথ্যে ২/৪ মিনিট করে আই কন্টাক্ট হচ্ছিল প্রায়ই। অনুভুতি গুলো যে ছিল আকাশছোঁয়া। একমাত্র যারা প্রেম করে তারাই ভাল জানবে, প্রিয় মানুষটি সেটা হোকে ছেল কিংবা মেয়ে তার চোখের দিকে তাকিয়ে থাকা কতটা তৃপ্তি তা হয়তো হাজার পাতা লিখেও আমি বুঝাতে পারবো না। কেও প্রাকিটিক্যালি তা অনুভব করতে পারলেই একমাত্র বুঝা যায়। ভুল বললাম কি? :)
এভাবে প্রায় ১ ঘন্টারও বেশি কথা বলা কেক ও ভ্যানিলা কফি খাওয়ার মধ্যে দিয়েই সময় গেল। এবার উঠার পালা, তার আগে আমার বার্থডে গিফট পেলাম। আমার পছন্দের বই যেকোন ট্রাভেল সিরিজ। তাই পেলাম – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় এর “পায়ের তলায় সর্ষে – পর্ব ১ ও পর্ব ২” এর দুটি বই। যদিও আমার পছন্দ কি তা আগেই জেনে নিছেন বিদিশার খালা। এবার উঠে বাহিরে বের হলাম আমরা। বিদায়ক্ষন, একটা অটো ডেকে দিলাম। ভাড়া দিয়ে দিতে চাইলাম বাট ওদের কারনে দিতে পারলাম না।
ওদের অটো ছুটলো ওদের গন্তব্যে … আমি আমার দিকে …. !! :)
রিক্সায় উঠে মনে পড়লো ওর চোখের চাহনির কথা যেটা আমাকে এই ১ঘন্টার মধ্যে ছিড়ে ছিঢ়ে খাচ্ছিলো। একটি অতৃপ্তি ছিল, “বিদিশা তোমায় যদি একটি লিপ কিস করতে দিতে! হয়তো এক নৈসর্গিক তৃপ্তি পেতাম। হয়তো …. (থাক আর না বলি)”।
বাসায় ফিরলাম, জন্মদিনের কেক কাটার জন্য সবাই অপেক্ষায় বসেছিল। দেড়ি করে বাসায় ফিরার সাথে সাথে কিছু ঝাড়ি খাইলাম। একটু রেস্ট নিয়ে কেক কাটলাম সব খালাতো মামাতো ছোটা ভাইবোনদের নিয়ে। কিছু ছবি তুললাম। বাস্ এভাবেই একটি স্বপ্নীল একটি দিন কাটালাম। :)
আর সেদিনের পর থেকেই আমার ভালবাসার সংসারে হঠাৎ করেই ভাটার টান পড়ে, এসব না হয় পরবর্তী শেষ পর্বেই বলি

একটি অপূর্ণ ভালবাসার গল্প – শেষ পর্ব

২৩ তারিখ সারাটা দিনের ধকল যাবার পর রাতের ঘুম যে কখন আমাকে ঘিরে ধরছে তা জানি না। শুধু পরদিন সকালে উঠে আগের দিনটাকে মনে হল যেন স্বপ্ন-ই দেখছিলাম। বিছানা থেকে এক সুখময় অনুভূতি নিয়ে উঠলাম। মনে এক তীব্র আনন্দ খেলা করছিলো। আর সেই আমার পরিবারের সদস্যরা বুঝতে পেরে বলে বসে, “কিরে তো হঠাত করে কি হল, একা একা হাসি? ব্যাপার কি?”। কেমনটা যেন স্বন্দেহ প্রবনতা। আমি শুধু “কিছু না” বলেই ক্ষ্যান্ত হলাম।
২৪ তারিখ আমার সারাটা দিন যায় বিদিশাকে ভাবতে। ওকে সরাসরি দেখবার পর আমার ভালবাসার বেগ তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে চলছিল সেদিন। নিজেরকে কিছুা কন্ট্রোল করলাম সেদিন। ওদের সাথে দেখা হবার পর ২দিন ফোনে কথা হয় নাই আর। কিন্তু, ২৪ তারিখ বিকেল ৩.০০ টার দিকে ফেসবুকে ঢুকেই মহারানীর সাথে চ্যাটিং শুরু। খানিক কিছুক্ষন বক্তৃতা দিলো আমাকে উদ্দেশ্য করে। সব কথার উত্তর দিলাম শুধু “হ্যাঁ”!!! ;)
আর এই পর্যন্তই আমার ভালবাসার সুখকর সময়গুলো ইতি টানলো। :( :(
আমাকে চিনেন এমন অনেকেই আছেন যারা জানেন আমি ফ্রীলান্সিং করি। এবং মাসে একটা ভাল আয়ও করি। আলহামদুলিল্লাহ! আল্লাহ আমাকে দিছেন তাই সম্ভভ হইছে। কিন্তু আমার শহরের কিছু মানুষের হয়তো সহ্য হয় নাই আমার ন্যাচারাল ফিনান্সিয়াল গ্রোথটাকে। আসলে ২০০৭ থেকে ফ্রীলান্স শুরু করলেও তা ২০০৯ এ ভাল রেপুটেশন পাই। আর তার কয়েক মাস পর থেকেই আমার পিছনে মানুষ রূপের কিছু পশু লেগে পরলো। তারা কারা আমি আজও জানি না। শুরু তারা আমাকে ব্লাকমেইল করেই চলছিল। কখনও আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়, কখনও বলে আমাকে অবৈধ ফ্রীলান্সিংকারী হিসাবে জেল খাটাবে এবং পত্রিকায় ছবি উঠাবে। যে মোবাইল নাম্বার থেকে তারা এসব করছিলো তা পর মুহুর্তেই অফ!! অনেক চেষ্টা করেও এদের হদিছ পাই নাই। মোবাইল সীম কেয়ারে গিয়েও কোন তথ্য পাই নাই। কারন কোন প্রমান এবং পুলিশ রিপোর্ট না থাকলে কারো তথ্যই শেয়ার করার অনুমতি নাই। এবং আমারো কোন প্রমান ছিল না যে আমি ঐ নাম্বার এর বিরূদ্ধে কোন কম্পেলইন লিখবো। যদিও আমার সম্মক জ্ঞানে এবং জানা মতে আমি এমন কিছুই করি নাই তাই আমার এসব ফালতু বিষয় নিয়ে কোন মাথা ব্যাথাই ছিল না। তবুও একটা বিষয় মানি একজন মানুষ হিসাবে আমার অজান্তে কোথাও ভূল হতেও পারে, তাই চুপচাপ ছিলাম। যাক এসব নিয়ে আর কথা বাড়াতে চাই না।  :(
আমার ভালাবাসা শুরুটা হয় ফেসবুক দিয়েই। যারা প্রথম পোষ্টটি পড়েছেন তারা জানেন। এবছর(২০১১) জানুয়ারীর শুরুর দিক থেকে আমার ফেসবুক প্রোফাইলের হঠাতই আনএক্সপেক্টেড আচারন পেতে শুরু করলাম। কখনো দীর্ঘ সময় ধরে হ্যাঙ, আবার কখনও থেকে থেকে লগ আউট। অনেক বিরক্ত হয়ে জিপি’র কাস্টমার কেয়ারে ফোন দিলাম। সেই পুরাতন ঘ্যানর ঘ্যানর !!! সমস্যার কারনে কয়েকদিন ফেসুবক চালাতে পারলাম না। আবার ব্যাবহার শুরু করতেই কদিন পর একই সমস্যা। সিকিউরিটি সেটিংস চেক করলাম। কিছু এলোমেলো পেলাম। আমার প্রোফাইলের সব দেখলাম পাবলিক করা। এবং আমার ফ্রেন্ড লিস্টের বাহিরের কয়েক জনকে দেখলাম আমার স্টাটাস এবং ছবিতে লাইক ও কমেন্ট করতে। বিষয়টি অনেক ভাবনায় ফেললো আমাকে। প্রত্যেহ কাজের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেললাম। কয়েকদিনের জন্য ছিক(Sick) হয়ে গিয়েছিলাম। অনেকেই ভাবছেন ফেসবুক এর জন্য ছিকনেস!!! তাদের বেশি কথা বলতে চাইনা। আপনার কাছে যেটা সামান্য কিছু তা অন্যের কাজে ধন সম্পত্তির মত।
জানুয়ারীর ২০ কি ২২ তারিখ বিদিশাকে না চেয়েও অপ্রত্যাশিতভাবে প্রোপোজ করে ফেলি। কারন সময়টার জন্য আমি মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না। তার উপরে বাড়তি চিন্তা কাজ করছিল। এরপর ১ সপ্তাহ, ২ সপ্তাহ করে প্রায় একমাস পড়েও প্রোপেজের উত্তর পাই নাই। একদিকে কাজ, ফেসবুক একাউন্ট নিয়ে চিন্তা তার উপরে প্রোপোজ এর উত্তর না পাওয়া। বলতে পারেন এই বিষয়গুলো আমাকে রোগা বানায় ফেলছিলো, সাথে রাতের ঘুম হারাম করে দিছিলো। যারা আমার সাথে ফেসবুকে মোটামুটি কানেক্টেড তাদের অনেকেই ব্যাপারটা জানেন। এরই মাঝে বিদিশার খালা ও বোনের সাথে প্রথমবারের মত দেখাও হইছে, সম্ভবত সেটা ১১ ফেব্রুয়ারী। এরপর ১৪ই ফেব্রুয়ারী, ভেলেন্টাইন-ডে আসলো! ঐদিন ওরা তিনজনই আমাকে জোর করছিল সবার সাথে দেখার করার জন্য বাহিরে কোন প্লেস এ। বাট, কাজের চাপ এবং ইচ্ছাও ছিল না ওদিন দেখা করার, তাই দেখা হয় নাই। এরপরও জন্মদিনের আগে অনেক কয়েকবার সুযোগ ছিল বিদিশাকে একপলক দেখার কিন্তু আমি নিজে থেকেই তা করি নাই।
যাহোক…….
এই ছিল ফেব্রুয়ারী ২৩ তারিখ পর্যন্ত ওদের সাথে আমার কথাবার্তা এবং চলাফেরার অবস্থা। আসলে এতো কিছু বলার একটাই কারন যে ভূল এর কারনে আমি ওদের হারিয়েছি। এটা ছিল একটা ভয়ানক মিসআন্ডাসর্টান্ডিং! মিসআন্ডাসর্টান্ডিং যেখানে থেকে শুরু …
উপরেও বলেছি জন্মদিনের দেখা হবার পর ওদের সাথে আমার পরের ২/১ দিন কথা হয় নাই। সম্ভবত ২৫ তারিখ রাত ৮.৩০ মিনিট হবে, কেন জানি মনে হল ওদের সাথে কথা বলি। কাজ হালকা করে নিয়ে কল দিলাম। কথা হল আন্টি, ওর ছোট বোন এর সাথে ভাল ভাবেই। কিন্তু বিদিশার আচারন আমাকে কষ্ট দিলো। ফোনে অনেকবার রিকোয়েস্ট করলাম ওর খালাকে যে ২/১ মিনিট জাস্ট কথা বলবো। বাট, বিদিশা’র নাকি আমার সাথে কথা বলার মুড নাই। হাহ!! :-@
ব্যক্তিগতভাবে আমি যেমনই হই না কেন, আমি কখনও অহংকার, অহমিকা আর মুড নিয়ে থাকি না, কারও সাথেই না। আর আমার সাথেও কেউ এমনটা করুক, এটাও আমার কাম্য না। আমি আজ কালকার আর ১০০টা ছেলেদের থেকে ভিন্ন থাকি!! কেউ আমার সামনে এক বিন্দু অহংকার বা মুড নিয়ে থাক বাংলা ভাষায় পার্ট মারুক, এটা আমার ক্ষেত্রে মানা একদম সম্ভব না। আমার পরিবারের কেউ এমনটা করলে তারাও আমার থেকে ছাড় পায় না।
“আচ্ছা বিদিশা তোমার কিসের এতা অহংকার পেয়ে বসলো? নাকি আমার কোন ভূল হইছে একটা তো বলবা? হঠাত এমনটা করার কারন কি?” – মনে মনে প্রশ্ন করলাম।  :(
২৬ তারিখ সকালে ফেসবুকে বসতে ধরেই মাথা হ্যাং!!! আমার একাউন্ট এর পাসওয়ার্ড পরিবর্তন হইছে। হাউ ইট পসিবল? আমি আমার পিসি ছাড়া মাস খানিক আগে শুধু একদিন মাত্র বাসার পাশের সাইবার ক্যাফে থেকে লগইন করছিলাম। তাও ঘন্টা খানিকের জন্য। আমার এই ফেসবুক একাউন্ট যে সমস্যা হচ্ছিল তা আমি আগেও বুঝছিলাম। হুট করেই লগ আউট হত, আবার লগইন করলো ইন করতো। তাই তাতে আমি সমস্যা বোধ করতাম না। কিন্তু পাসওয়ার্ড পরবর্তনটা আমাকে আমার মাথা পুরাই নষ্ট হবার সামিল করে ছাড়লো। কারন আগেও বলছি। আমার এই একাউন্টটি তখনও অনেক ভেল্যু রাখতো আমার কাছে। অনেক কিছুই আমার গচ্ছিত ছিল ঐ একাউন্টে। আমি প্রায় দিশেহারা হয়ে পরলাম। কি করবো বুঝতে পারছিলাম না। একদিকে বিদিশার আচরন তার উপরে ফেসবুক হ্যাক! মনে হচ্ছিল যেন কেউ আমাকে গলা চিপা দিচ্ছে বারং বার। অনেকবার চেষ্টা করলাম, একাউন্ট রিকভার করতে পারলাম না। নিরুপায় হয়ে পরলাম। কাউকে জানানোর মত ভাষা খুজেঁ পাচ্ছিলাম না। আর না জানানোর জন্যই আমার ভালবাসাকে মাটি চাপা দিতে হইছে। আসলে জানানোটা প্রয়োজন ছিল কতটা তা আমি ১% ও তখন অনুভব করতে পারি নাই। ইস! আর অন্য কাউকে না, যদি শুধু বিদিশাদের জানাতাম। তাহলে হয়তো ওরা আমাকে ভূল বুঝতো না। :( :( ২৬ তারিখ সারা দিন কাটলো, পিসিতে বসারমত কোন শক্তি আর পাচ্ছিলাম না সেদিন। জাস্ট শুয়ে থেকে সারাটা দিন কাটায় দিলাম। সন্ধায় পিসিতে বসলাম বাট অনেককককককককককককককককককককককক বিরক্ত লাগতেছিল ফেসবুক একাউন্টটা হ্যাক হবার কারনে। তাই সাথে সাথেই উঠলাম পিসি থেকে।
কি পাগলামী লাগছে কথা গুলো? বানানো কথা উগলায় দিচ্ছি এমনটা মনে হচ্ছে, তাই না? আরো দেথুন সত্য কথা কতটা পাগলীয় হয় ……
২৭ তারিখ সকালে ৯.৩০মিনিটে ঘুম থেকে উঠলাম। ফ্রেস হলাম, নাস্তা করে বাসা থেকে বের হলাম মার্কেটের উদ্দেশে। নাহ! মার্কেটেও মন বসলো না। ঘন্টা খানিক পর আবার বাসায় চলে আসলাম। গোসল করে খাওয়া করে ঘুম। বিকালে ঘুম থেকে উঠলাম, ফ্রেস হলাম তারপর বাহিরে বের হয়ে পরলাম। বাসা থেকে কিছুদূর আগাতেই আননোন নাম্বার থেকে কল আসলো পড়ে তা রিসিভ করে পরিচিত একজনকেই পেলাম। উনি আমাকে জানালেন, কে নাকি একজন আমার সাথে দেখা করতে চায়। তাই আমাকে দেখা করতে বললো। আমি প্লেস বললাম উনারা ২০ মিনিটির মধ্যে চলে আসলো। আসলে আনলাইনে কাজ করি এই রেফারেন্স এ আমার সাথে ডিইলি অনেতের সাথেই পোনে কথা হয় এবং কারো কারো সাথে দেখাও হয়। সে সুবাধে এনাকেও ভাবলাম। আমর পরিচিত যিনি ছিলেন আমার সাথে নতুন লোকটিকে দেখা করায় দিয়ে উনি চলে গেলেন।
নতুন লোকটির সাথে পরিচিত হলাম। উনি আমাকে কাজের কথা জিজ্ঞাসা করলেন। সব কিছুর ফকে কেন জানি মনে হল উনি আমার সাথে ফাজলামি করতেছেন। কথার মাঝে মধ্যেই হাসেন শুধু অকারনে। যেটা আমাকে অনেকটা বিরক্ত করছিল। আমার যে বিরক্ত লাগছিল উনি তা বুঝতেও পারছিলেন হয় তো। উনি এক পর্যায়ে প্রশ্ন করে বসলেন….
আপনি কি ফেসবুক ব্যাবহার করেন?
-হ্যাঁ। কেন বলুন তো?
আপনি কি কোন সমস্যায় পড়ছেন ফেসবুক নিয়ে?
-বিব্রতকর অবস্থা নিয়ে হ্যাঁ সূচক জবাব দিলাম।
-আপনি জানলেন কিভাবে?
উনি আমার প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে প্রশ্ন করলেন…
আপনার একাউন্ট কি হ্যাক হয়েছে?
-আমার তো আসমান ভাঙ্গলো মাথায়। আপনি জানলেন কিভাবে?
পাশে কোন সাইবার ক্যাফে আছে?
-হ্যাঁ, কেন?
চলুন ওখানে।
-আমি যেতে বাধ্য হলাম। এই মানুষটাই কি সেই? মনে মনে ভাবলে লাগলাম। এনাকেতো আমি আগে দেখিও নাই। জানিও না। এমনকি কখনও ফোনে উনার নামে কারো সাথে কথা হইছে বলে মনে হয় না। তাহলে? তিনি কেনই বা আমার একাউন্ট হ্যাক করবেন? কি কারনে এসব করবেন? আমিতো উনার কোন ক্ষতি করি নাই? আমার মাথায় আরো কত প্রশ্ন আসছিল তা বলতে পরলাম না।
পাশেই সাইবার ক্যাফেতে একটি পিসিতে বসলাম। উনি আমার আইডি টাইপ করতেই আমার মাথায় রক্ত গরম হয়ে পড়লে। আর তাতে কমপক্ষে ২০ অক্ষরের পার্সওয়ার্ড টাইপ করলো। বুঝতে বাকী থাকলো না যে উনিই সেই হ্যাকার আমার সাথেই বসে আছেন। আমি নির্বাক হয়ে পড়লাম। লগইন হতেই দেখি ১৫-২০টা ম্যাসেজ সাথে নোটিফিকেশন তো আছেই। ম্যাসেজ দেখতে চাইলে উনি আমাকে মাউস এ হাত দিতে দিলেন না। আমি প্রশ্ন করে বসলাম….
-আপনি আসলেই কে বলেন তো?
সাধারন মানুষ।
-আমার একাউন্ট হ্যাক করে আপনার কি?
উনার উত্তরটা এরকম- “লাভ তেমন কিছু না, তবে আমি একজন ইনভেসটিগেটর!”
-বুঝলাম, তাতে আমার একাউন্টের সাথে আপনার সম্পর্ক কি? সাহস করে বললাম।
দেখুন আমরা জানতে পারছি যে আপনার ফেসবুক একাউন্ট থেকে গোপনে অবৈধ্য কাজ করা হয়। :O
-আমার মাথায় বাজ পরলো। অবৈধ্য কাজ!!!! আপনি এসব কি বলছেন? কি কাজ বলবেন প্লিজ?
দেখুন আপনার সাথে বেশি কথা বলার পরমিশন আমার নাই। আমি জাষ্ট আপনার একাউন্ট মাস খানিক থেকে পর্যবেক্ষন করছিলাম। এবং সব শেষে পাসওয়ার্ড চেঞ্জ করি।  :(
-কিভাবে চেঞ্জ বা কিভাবে কি করছে তা জনার পর আমার নিজের অনেক অপরাধী মনে হচ্ছিল যেন, নিজের বুকে ছুরি চালানোর মত ব্যাথা উপলব্ধি করতে লাগলাম। কেন আমি সেদিন সাইবার ক্যাফেতে ফেসবুক লগইন করলাম। :(
উনার শেষ কথা ছিল, “আমি কে বা কি সেটা আপনার জানার প্রয়োজন নাই। আমরা আপনার একাউন্টের ইনভেসটিগেশন রাথবো আরো ৩৬ ঘন্টা। প্রমান মিললে সমস্যায় পড়বেন।
আমার কোন প্রশ্নে জবাব আমি অনেক বলেও আদায় করতে পারে নাই। কারন আমি নিরুপায় ছিলাম। কি করতাম, কেউ কারও কাজে জিম্মি হলে কারও কিছু তাতক্ষনিক করা থাকে বলে আমার জানা ছিল না এমন কিছু। শেষ মেস উনি চলে গেলেন ৩৬ ঘন্টার কথা বলে। আমি প্রায় দিশাহারা হয়ে বাসায় ফিরলাম। মাগরিব নামাজও মিস গেছে সেদিন।
……… সন্ধায় পিসিতে বসতে ইচ্ছা করলেও বসলাম না। এদিকে বিদিশাদের সাথে ২ দিন ধরে যোগাযোগ নাই। ওরাও কেন জানি কল দিচ্ছিল না। একটু অবাক হলাম… মানুষের বিপদের সময় কেউ আসলেই পাশে থাকে না। আবার পরক্ষনেই ভাবলাম, আমিইতো ওদেরকে কিছু জানাই নাই। ওরা আবার আমার পাশে দাঁড়াবে কি করে। :( রাতে খাবার খেয়ে বিছানায় উঠলাম……. তখন রাত প্রায় ১টা। আন্টির নাম্বার থেকে কল আসলো, কলটা ধরে কথা বলার মত মেজাজ ছিল না। তাই মোবাইল সাইলেন্ট করে ঘুমায় পড়লাম। এই কল না ধরা যে আমার জন্য কতটা কাল হয়ে গেল তা বুঝাতে পারবো না।
পরদিন ২৮ ফেব্রুয়ারী, বিকালে আমার ওয়েব ডিজাইন ক্লাস ছিল। এলোমেলো অবস্থাতেই ক্লাসে গেলাম। মন বসছিল না। তাই স্যার কে বলে ৩০ মিনিট পরেই চলে আসতে লাগলাম বাসায়। হটাতই আবারো আননোন নাম্বার থেকে ফোন। বিরক্ত হয়ে ফেন রিসিভ করলাম। সেই হ্যাকারের ফোন, আমাকে প্রেসক্লাব চত্বরে আসতে বললেন। আমি সেই রাস্তা দিয়েই ফিরছিলাম। দেখা করতে নামলাম। উনি আমাকে যা বলছেন তাতে একজন ………………………. থাক আর বলার ভাষা নাই আমার। শুধু এতটুকু বলি একাউন্টা পুরোপুরি ফিরে পাইতে আমাকে উনার শুধু পা ধরাটা বাকি ছিল। এর বেশি আর নিজেকে ছোট করতে পারলাম না। :(
একাউন্ট ফিরে পেয়ে হাফ ছাড়লাম। বাসায় ফিরতে ফিরতে সন্ধা পার হল। বাসায় ফিরেই ফেসবুকে লগইন করলাম। সাথে সাথে প্রাইভেসিসহ সকল সেটিংস এবং পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করলাম। আন্টিকে ম্যাসেজ দিলাম ফেসবুকে আসতে বলে। উনি আসলেনও বটে কিন্তু ওনার ব্যবহার আমাকে অপমানিত করলো। আমি নাকি নাটক করছি উনাদের সাথে। :O উনাকে রিপ্লে দেয়ারমত ভাষা পাইলাম না। নাটক এর কি করলাম আমি? পরে উনার থেকেই জানলাম, বিদিশার ছোট বোন যদি আমাকে আনফ্রেন্ড না করতো তাহলে আমি নাকি এই নাটক থামাতাম না। আমিতো এই কথা শুনে আইচ হয়ে গেলাম। ও আবার আমাকে আনফ্রেন্ড করলো কবে? ফ্রেন্ড লিস্টে চেক করে দেখলাম ঠিকই ও আমার লিস্টে নাই। সন্দেহবশত ম্যাসেজ চেক করতে গেলাম। একগাদা ম্যাসেজের সাথে বিদিশার ছোট বোনের ম্যাসেজও দেখতে পারলাম। ও আমাকে নিজের ভাইয়ের মত দেখে আমিও ছোট বোন না থাকার কারনে ওকে নিজের বোন চোখেই দেখি। সম্পর্কগুলো এতোটাই সুন্দর ছিল যে, আজো আমাকে কষ্ট দেয়। ম্যাসেজ যা দেখলাম তাতে আমার লিখা প্রকাশ করারমত কিছু নাই। ঐ শালা কুত্তা হারামী হ্যাকার ওর সাথে খারাপ ব্যবহার করছে। আমি কখনও ওদের সাথে তিল থেকে তাল ব্যবহার করি নাই। বাট ঐ ব্যাটা যা ব্যবহার করছে তাতেতো আমাকে ডিলিট না করে উপায় ছিলও না। আসলে আমি-ই তো দোষী। আমারই চরম ভূল ছিল ওদেরকে ব্যাপারটা না জানানো। তার শাস্তি আমি সমূলে পাইছি। অনেক চেষ্টা করেও ছোটকে আর এ্যাড করতে পারি নাই। কয়েকদিন পর বিদিশাও আমাকে আনফেন্ড করে দেয়। তার পরেও ওকে ম্যাসেজ দিতাম বাট কিছুদিন আগে আমাকে ব্লক করে দেয়। তাই, সব পথ বন্ধ হয়ে যায় ওর সাথে যোগাযোগ করার। এভাবে করে ওদের দু’বোনের সাথে আমার যোগাযোগ অফ হয়ে পরলো। আন্টি যদিও আমাকে এখনও আন ফ্রেন্ড করে নাই। তবে, ম্যাসেজ বা চ্যাটে কথা বললেও কোন রিপ্লে দেন না। আর এখন দিন গড়ার সাথে সাথে আমিও ওদের সাথে যোগাযোগের আর চেষ্টা করি না তেমন। ওরা ওদের মত আর আমি আমার মত!!!!!!!!!!!!!!!!!
জীবনের বাস্তবতা আসলেই অনেক নিষ্টুর হয়। আল্লাহ’র কাছে কেউ পাপ করলে তা অন্তর থেকে কেউ ক্ষমা চাইলে আল্লাহ ক্ষমা করে দেন। কিন্তু আমি, কি করছি তোমাদের কাছে? হ্যাঁ, ব্যাপারটি জানাই নাই এটাই আমার বড় ভূল ছিল। আমিতো তা স্বীকার করছি যে আমার ভূল হইছে না জানানোটা। তোমাদের কি মনে একটুকুও ভাবনার উদয় হয় নাই, যে মানুষটা তোমাদের কে নিজের পরিবারের মত মানতো, সে কিভাবে তোমাদের সাথে প্রতারনা করবে? তোমাদের কি একবারও মনে পড়ে না সেই সময়গুলোর কথা? আমি জানি এর উত্তর আমি কখনও পাবো না। শুধু আমার একটাই আক্ষেপ থাকবে…. তোমরা আমাকে কোন কথা বলার সুযোগ দেও নাই। আমার মুখের উপর যা পাইছো তাই বলে গেছো। তোমরা তোমাদের জেদ নিয়ে থাকলা। তবে, তাই ভাল তোমাদের জন্য। একচেটিয়া সিদ্ধান্ত বা এক কেন্দ্রিক কোন কিছুর ফলাফল শুভ হয় না। আমার বেলাতেও তাই হইছে।
আমার প্রোফেশনলা জীবনকে হুদা কেউ পরখ করতে এসে এভাবে আমার ভাল সময় ও ভাল কিছু সম্পর্ককে নষ্ট করে দিবে তা কল্পনাতীত ছিল। আজও বুঝতে পারলাম না কে বা কারা আমার শত্রু। আজও মাঝে মাঝে কিছু মানুষের কল আসে, এমন সব কথা বলে যেন আমি তাদের কাছে চির অপরাধী। জানি না তারা কখনও আমার আমার সামনে ধরা পরবে কিনা, পরলেও আমার-ই বা কি করার থাকবে। তারা তো আমার ক্ষতি করে ফেলছেই, এটাকে তো আর রিকভার করার মত সময় হাতে নাই।
সবশেষে ভূলগুলো ভূল হিসাবেই থাকলো। থাক, এভাবেই যদি ঠিক লাগে তোমাদের কাছে। তোমাদের হয়তো তেমন কোন সমস্যাই হয় নাই আমাকে ভূল-তে। কিন্তু আমাকে আজও তোমাদের স্মৃতিগুলো দোলা দেয়….. হয়তো একটা সময় ঠিকই তোমাদের ভূলে যাবো সময়ের প্রয়োজনে ভূলতে কষ্ট হলেও। ভূলে যাবো তোমাদের সাথে জড়িয়ে থাকা সব সুখময় স্মৃতিগুলো। সময়ের সাথে মিশে একাকার হয়ে যাবে সব অপূর্ণ ভালাবাসা গল্পগুলো।
বিদিশা, পারবে তো; ভূলতে? হয়তো ভূলেই গেছো এই কয়েক মাসেই। ভাল থেকো, সুখে থেকো তোমার জীবন সঙ্গীকে নিয়ে। এই কামনা করি।
লিখতে লিখতে হাত ব্যাথা অনুভব করছি। এবার এ গল্পের ইতি টানার পালা। অপূর্ণ ভালাবাসার গল্প সিরিজের ৫টি পর্ব আমার জীবনের সবচেয়ে সুখের এবং সবচেয়ে দু:খের একটি সময়কালের গল্প। এটা কোন বানানো গল্প নয়। পরো বাস্তব এবং সম্পূর্ণ সত্য ঘটনা। কেউ না বুঝেই হাসি, তামাশা বা ঠাট্টা বিদ্রুপ করবেন তা মোটেই আমার কাম্য নয়। কারন তখনই একটি জিনিসের মুল্য বুঝা যায় যখন কেউ সেটা কষ্ট করে পায় আবার সামান্য ভূলের জন্য হারায় ফেলে।

একটি অপূর্ণ ভালবাসার গল্প এখানেই সমাপ্ত!!

1 টি মন্তব্য: